World's No.1 Most Famous Best Tantrik Astrologer, Mayang-Bej, All-Vashikaran & Black-Magic Apply & Removal Specialist, Dashamahavidya siddha Tantra Specialist, Aghori Tantra Specialist, Bagalamukhi Enemy-Destroyer Tantrik, Palmist, Numerologist, Gemologist, Nadi astrology, Tarot readings, Iching, Feng-Shui, Muharat, Lost and Found, Dreams Interpretation, Lal-Kitab, Krishnamurti & Vastu Specialist Expert Shastrishree Dr.Rupnathji (Dr.Rupak Nath) from Silchar, Assam, India. Sarva Manokamna Purti Siddhi, Tantrik Abhichar, Love Problem Solution Baba, Get Your Love Back By Vashikaran, Love-Marriage Problem Solution Specialist, Bagalamukhi Tantra Specialist, Indian Vedic Astrology Tantrik Remedies for childless couple (Santan Prapti), Court case problem, Education, Job, Business, Business blocked, Debt (Karz Mukti), Poverty, Wealth & Resources, Happiness & Prosperity, Foreign Journey-travel, Love, Marriage, Political, Stock Market, Bollywood, Cricket, Modeling, Fashion, Films matters, Vastu Doshas, Evil Eye Symptoms, Family Problems, Griha Shanti, Husband Wife Scramble, Bandhan Dosh, Bhoot Pret Badha, Kaal Sarp Dosha, Manglik Dosha, Pitra Dosh, Sade-Sati, Physical-Mental Health Problems, Navagraha Shanti (Havan or Yagya) etc. All Problem Solution, Spiritual Guru.
Shastrishree Dr.Rupnathji (Dr.Rupak Nath) is a Tantra Siddha Maha Yogi since his birth. He is the master of ashta siddhis, radiant light of Yoga knowledge, salvator for mortal beings on earth and capable of giving them the divine experiences, master of masters, immortal. His birth was predicted thousands of years ago in Nadi Grantha. Siddha Yogi Shastrishree Dr.Rupnathji (Dr.Rupak Nath) has "Vak siddhi" meaning whatever he says has the power of turning into reality. Tantra Siddha Maha Yogi Shastrishree Dr.Rupnathji (Dr.Rupak Nath)'s life is surrounded with numerous stories about miraculous deeds he has performed. There no any doubt that Tantra Siddha Maha Yogi Shastrishree Dr.Rupnathji (Dr.Rupak Nath) is highly realized yogi who has acquired many Siddhis and have the miraculous powers on his disposal, which he used discriminately only for the propagation of Dharma.
काला जादू और किया कराया हटाना, बंधन दोष मुक्ति, बुरी नज़र से सुरक्षा, भूत प्रेत बाधा, हर प्रकार के वशीकरण करना या तोडना, संतानहीनता ( संतान प्राप्ति ), कोर्ट केस समस्या, शिक्षा, नौकरी पाना या तरक्की, व्यापार अवरुद्ध, ऋण ( कर्ज मुक्ति ), प्रेम विवाह, रूठे प्रेमी प्रेमिका को मनाना, मनचाहा खोया प्यार पाए, माता पिता को शादी के लिए राज़ी करना, वास्तु दोष, पारिवारिक समस्याएं, गृह क्लेश, पति पत्नी में अनबन, सौतन से छुटकारा, विवाहेतर संबंधों, विदेश यात्रा में रुकावट, दुश्मन से छुटकारा, काल सर्प दोष, मांगलिक दोष, पितृ दोष, साढ़े -सती, शारीरिक मानसिक स्वास्थ्य समस्याएं, नवग्रह शांति आदि !!
त्रिकालदर्शि विश्व प्रसिद्ध वशीकरण स्पेसलिस्ट, काला जादू समाधान विशेषज्ञ तन्त्रशास्त्रज्ञ, वशीकरण, सम्मोहन, उच्चाटन, मारण, अकाल मृत्यु, भूत, पिशाच, तंत्र बाधा, डाईन, मूठ, मारण या आसुरी शक्तियों का कोप, आप के जीवन की हर मुस्किल से मुस्किल समस्याओ का पक्का समाधान करते है बाबा रुपनाथ गुरुजी !!
হিন্দু শাস্ত্রমতে -- হীরা, মুক্তা, নীলা, প্রবাল ইত্যাদি রত্ন / ষ্টোন / পাথর লাগিয়ে গ্রহদোষ কাটানো যায় না। কিন্তু গ্রহের শান্তি বিধানের জন্য নির্দ্দিষ্ট রত্ন বা সমতুল্য দক্ষিণা দান করিবার নির্দেশ শাস্ত্রে দেওয়া আছে। উদাহরণ স্বরূপ যদি কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠী / ঠিকুজী / জন্ম-কুণ্ডলীতে শনি গ্রহ বিরুদ্ধ ( অশুভ ) ভাবে অবস্থান করেন তবে, যে গ্রহবিশেষজ্ঞ সেই শনি গ্রহের শান্তি বিধানের জন্য বৈদিক ক্রিয়া সম্পন্ন করিবেন, তাঁকে নীলা বা নীলা রত্নের সমতুল্য ধন দান করিতে হইবে। নিজে নীলা পাথর ধারণ করিলে শনি গ্রহের শান্তি বিধান হইবে না।
ক্রমাগত, শাস্ত্রের ভুল অনুবাদ করা, ভুল বইগুলি পড়ে পড়ে মানুষের মনে একটি ভ্রান্ত ধারণা জন্মেছে যে গ্রহের শান্তির জন্য রত্ন ধারণ করিতে হয়। ক্ষিদে লাগলে, ধন দ্বারা খাদ্য কিনে খেতে হয়, ধন বা টাকা-পয়সা খেলে ক্ষিদে মিটে না, ঠিক সেই ভাবে গ্রহ শান্তির জন্য সেই গ্রহের নির্দ্দিষ্ট রত্ন বা সমতুল্য ধন দান করে গ্রহ বিশেজ্ঞকে দিয়ে বৈদিক ক্রিয়া করাতে হয়। প্রাচীনকালে টাকা-পয়সা না থাকায় রত্ন-আভূষণ ইত্যাদিকে টাকা-পয়সার পরিবর্তে ব্যবহার করা হইতো। রাজা-মহারাজারা উৎসব-অনুষ্ঠানে মুণি - ঋষি - বিদ্বান - পণ্ডিত - জ্ঞানীজন - সভার সদস্য - মন্ত্রি - প্রজাগণের মধ্যে মণি-মুক্তা-রত্ন দান করিতেন। যাতে প্রজাগণ সেই রত্ন দ্বারা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য-বস্ত্র-যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করিতে পারেন। মণি-মাণিক্য লাগিয়ে রাস্তায় ভ্রমণের জন্য দেওয়া হইতো না ।
উদাহরণ স্বরূপ - রাবণ বধের পর ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে এসে রাবণ বধে তাঁর সাহায্যকারী এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলকে নানাধরণের মণি-মাণিক্য দিয়ে পুরষ্কৃত করেন ( গ্রহের প্রতিকারের জন্য ধারণ করতে দেন নাই )। কিন্তু হনুমানজীকে কোনও পুরষ্কার দেন নাই। কারণ ভগবান রামচন্দ্র ( ভগবান বিষ্ণু ) জানতেন যে, হনুমানজী দেবাদিদেব মহাদেব শিবের অবতার। তাঁকে কি পুরষ্কার দেবেন?
কিন্তু মাতা সীতা ( মাতা লক্ষ্মী ) এই সত্য জেনেও হনুমানজীকে অতিমূল্যবান রত্নের মালা ( মুক্তার মালা ) উপহার হিসেবে দেন ( গ্রহের প্রতিকারের জন্য ধারণ করতে দেন নাই )। হনুমানজী মুক্তার মালা পাওয়ার সাথে সাথেই ইহাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। তখন সভায় উপস্থিত অন্যান্যরা হনুমানজীর কাছে, অতিমূল্যবান রত্নের মালা ( মুক্তার মালা ) ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চাইলে হনুমানজী বলেন যে তিনি মুক্তার মালাতে ভগবান রামচন্দ্র এবং মাতা সীতাকে খুঁজছিলেন। যে জিনিষে ভগবান রামচন্দ্র এবং মাতা সীতা নেই, সেই বস্তু কি কাজের? তারপর তিনি সভায় উপস্থিত সকলের সন্মুখে নিজের বুক চিরে নিজের মধ্যে ভগবান রামচন্দ্র এবং মাতা সীতাকে দেখিয়ে ছিলেন।
হনুমানজী ছিলেন ভগবান সূর্যের শিষ্য, মহাজ্ঞানী-পণ্ডিত, সর্ব্ব বিদ্যা বিশারদ তথা জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদ।
রবিপুত্র ( সূর্যের পুত্র ) গ্রহরাজ শনিদেব এবং যমদেবকে রাক্ষসরাজ রাবণ বন্দি করে রেখেছিলেন। হনুমানজী, শনিদেব এবং যমদেবকে রাবণের বন্ধন থেকে মুক্ত করেছিলেন।
রাক্ষসরাজ রাবণ ছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব শিবের ভক্ত। সেইজন্য দেবাদিদেব মহাদেব শিব নিজ হস্তে রাবণকে শাস্তি না দিয়ে, হনুমানজীর রূপ ধরে রাবণ বধে ভগবান রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন।
হনুমানজী জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদ হয়েও অতিমূল্যবান মুক্তার মালা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। যে জিনিষে ভগবান রামচন্দ্র এবং মাতা সীতা নেই, সেই বস্তু কি কাজের? কেবলমাত্র মূর্খরাই এই সব বস্তুকে অতিমূল্যবান বলে ভাবতে পারে।
কিন্তু বর্তমান যুগের মূর্খ ভাষাবিদরা এই সত্য বুঝতে না পেরে প্রবাদ রেখেছে যে “বানরের গলায় মুক্তার মালা” অর্থাৎ বানরে মুক্তার মালার মুল্য বুঝতে পারে না। এই সব মূর্খ ভাষাবিদদের কাজ হল আমাদের সভ্যতা - সংস্কৃতি - ইতিহাস - শাস্ত্র ইত্যাদিকে বিকৃত করা। এরা পণ্ডিত নয়।
বর্তমান সময়ে আসল রত্ন কেবল সরকারী মিউজিয়ামে দেখতে পাওয়া যায়।
যেখানে আসল রত্ন-হীরা-মণি-মুক্তা-মাণিক্য ইত্যাদি থাকে অথবা যেখানে প্রদর্শন করা হয় সেখানে সরকারের দ্বারা স্বশস্ত্র পুলিশ-সেনা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। রাস্তার পাশের শোরুম বা গ্রহরত্নের দোকানে আসলের অনুরূপ হুবহু নকল রত্ন বিক্রয় হয়। বিজ্ঞানের প্রবল অগ্রগতির দুর্ব্যবহার করে ল্যাবরেটরিতে / কারখানায় আসলের অনুরূপ উপাদান দিয়ে হুবহু প্রচুর পরিমাণে নকল রত্ন প্রস্তুত করা হইতেছে। কেবল নকল রত্ন পাওয়া যায় বলেই, বর্তমান সময়ে রত্ন ইত্যাদিকে টাকা পয়সার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় না বা পণ্ডিত জ্যোতিষ শাস্ত্রীরাও দক্ষিণা হিসাবে এই সকল রত্ন গ্রহণ করেন না।
অত্যধিক মাত্রায় অসংখ্য পরিমাণে নকল ও কৃত্তিম রত্নের উৎপাদন তথা বিতরণের জন্য, বর্তমান সময়ে এইসব রত্নাদি ছোট বড় সকল জুয়েলারীতে পাওয়া যায়।
আসল রত্নের দৈবীগুন হল যে, আসল দৈবীগুন সম্পন্ন প্রাকৃতিক রত্ন কোনও মানুষের অধিনে থাকে না অর্থাৎ পৃথিবীর কোনও ব্যক্তি কোনও দৈবীগুন সম্পন্ন প্রাকৃতিক রত্নের অধিকারী / মালিক হতে পারবে না। কোনও মানুষ যদি আসল রত্ন পেয়ে যায় তবে অতিনির্মম পরিণতির মাধ্যমে সেই রত্ন অন্যমানুষের কাছে চলে যায় অথবা নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ( হারিয়ে যায় ) এবং এই ভাবে চলতে থাকে। আসল রত্ন পাওয়া ব্যক্তির অকাল মৃত্যু, শত্রুর দ্বারা হত্যা ইত্যাদি হয়ে যায় অথবা চুরি-ডাকাতি হয়ে যায়। চোর-ডাকাতরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, রত্ন পুলিশের কাছে যায়, পুলিশ থেকে সরকারের কাছে এবং শেষে মিউজিয়ামে স্থান পায়। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে আসল রত্ন ব্যবহার করতে পারবে না।
দ্বাপরযুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ( ভগবান বিষ্ণুর মনুষ্য অবতার ) বিশ্বের সমস্থ দুর্লভ মণিরত্নাদিকে যুদ্ধ ইত্যাদির দ্বারা নিজের অধীন করেছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ “মহাবলী জাম্বুমানকে” যুদ্ধে পরাস্থ করে “সামন্তক মণি ( বর্তমানের কোহিনুর হীরা )” অধিকার করেছিলেন। তারপর একজন ব্যাধের ( পশুশিকারীর ) তীর বিদ্ধ হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মনুষ্য অবতার ত্যাগ করেন, তারপর শ্রীকৃষ্ণের যদু বংশ ও ধ্বংস হয়ে যায় এবং অলৌকিক গুণ সম্পন্ন প্রায় সমস্ত রত্নাদি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভগবান বিষ্ণু মনুষ্য অবতার রূপ নিয়ে মানুষকে এই শিক্ষাও দিয়েছেন।
“আসল রত্ন” বলে কোনও দোকানদার / ব্যক্তি যদি কোনও রত্ন বিক্রি করে ধন ( টাকা ) পেয়ে যায় তবে বুঝতে হবে যে ইহা আসল নয়, আসলের অনুরূপ হুবহু নকল রত্ন। হিন্দু শাস্ত্রমতে আসল রত্ন কোনও ব্যক্তির অধিনে থাকবে না. আর বিক্রি করার মত আস্পর্ধা / বদসাহস দেখানো তথা টাকা পেয়ে উপকৃত হওয়া অসম্ভব। আসল রত্ন বিক্রি করার মত অশুভ সাহস দেখানোর পূর্ব্বেই বিক্রেতার অকাল মৃত্যু অথবা সমুহ বিপদের সন্মুখীন হইতে হইবে।
উদাহরণ স্বরূপ কোহিনুর হীরা যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্তর্ধানের পর বহুকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তারপর রাজপুতরা খুঁজে পেয়ে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে, তারপর মোগল, ইরানীয়ান, আফগান, শিখ এবং শেষে ব্রিটিশরা ইহা নিয়ে যাওয়ার পর পৃথিবী থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আধিপত্য নষ্ট হয়ে যায়। ব্রিটিশরা বলতো যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত হয় না, কিন্তু কোহিনূর হীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত তথা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে দেয়। কোহিনুর হীরার কুফল থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ব্রিটিশরা কোহিনুর হীরাকে দুটুকরো করে ফেলে।
HOPE DIAMOND :- পৃথিবী বিখ্যাত এই হীরা দিয়ে আজ থেকে কমকরে ও 500 - 600 বৎসর আগে দেবী সীতার মূর্তির চোখ বানানো হয়েছিল । তারপর এই হীরা চুরি হয়ে যায়। 1911 ইংরাজীর 29 JANUARY তারিখের THE NEW YORK TIMES পত্রিকার তথ্য মতে যে ব্যক্তি এই হীরার মালিক হতে চেয়েছে - সেই ব্যক্তির পরিণতি ভয়াবহ হয়েছে । ট্যাভারনিয়ার নামক ব্যক্তি এই হীরাকে ভারতবর্ষ থেকে প্যারিস নিয়ে যাওয়ার পর জংলী কুকুররা সেই ব্যক্তিকে আক্রমণ করে তার শরীরকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। Jacques Colet নামক ব্যক্তি এই হীরা ক্রয় করার পর কিছু দিনের মধ্যেই আত্মহত্যা ( suicide ) করেন। তারপর Mille Ladue খুন হয়ে যান নিজের প্রেমিকার হাতে। Kulub Bey নামক ব্যক্তির ফাঁসি হয়। জুয়েলার ( Jeweler ) William Fals এই হীরাকে recut করার পর একজন দুষ্কৃতিকারীর হাতে তার মৃত্যু হয়। William Fals' নামক একটি ছেলে, তার বাবা Hendrik এর কাছ থেকে এই হীরা চুরি করার পর আত্মহত্যা ( suicide ) করে। এই ভাবে আরও বহু লোকের ভয়াবহ পরিণতি হওয়ার পর বর্তমানে এই হীরাকে Smithsonian Natural History Museum in Washington, D.C. - তে প্রদর্শনির জন্য রাখা হয়েছে ।
Black Orlov :- পৃথিবী বিখ্যাত এই হীরার আসল নাম হল ব্রহ্মার চক্ষু ( চোখ ) ( Eye of Brahma )। এই হীরা ও ভারতবর্ষের পন্ডিচেরীতে অবস্থিত ব্রহ্মার মূর্তি থেকে চুরি করা হয়েছিল। 1932 সনে হীরার ব্যবসায়ী J.W.Paris এই হীরাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার পর একটি উঁচু ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তারপর 1940 সনে এই হীরার মালিক হওয়া দুইজন রাশিয়ার মহারাণী ( two Russian princesses ) Leonila Galitsine-Bariatinsky এবং Nadia Vygin-Orlov ( যার নামে এই হীরার নাম রাখা হয় ) ও উচু ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে এই তিন ব্যক্তির মৃত্যু একই ভাবে ( উঁচু ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ) হয়। তারপর এই হীরাকে তিন টুকরো করে American Museum of Natural History in New York City at the Natural History Museum in London এই দুইটি - তে প্রদর্শনির জন্য রাখা হয়েছে।
Delhi Purple Sapphire :- পৃথিবী বিখ্যাত এই রত্নটিকে 1857 সনে ভারতবর্ষের কানপুর শহরে অবস্থিত ভগবান ইন্দ্রের মন্দির থেকে চুরি করা হয়। W.Ferris নামক ব্যক্তি ইহাকে ইংল্যান্ড নিয়ে যাওয়ার পর সে এবং তার পুত্র সর্বস্বান্ত তথা ঘোরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের একজন পারিবারিক বন্ধু এই রত্নটিকে কিছু দিনের জন্য নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এই রত্নটিকে স্পর্শ করলেই ভয়ানক বিপদের সন্মুখীন হতে হয়। ফলে এই রত্নটিকে দীর্ঘকাল বক্সে বন্ধ করে রাখা হয়। আজ থেকে মাত্র সাত ( 7 ) বৎসর আগে Natural History Museum এর John Whittaker ( former head of micropalaeontology ) এই রত্নটিকে Heron - Allen Society - এর বাৎসরিক উৎসবে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঝড় তুফানের সম্মুখীন হন তথা তার শরীরে আংশিক বজ্রপাত হয়। দ্বিতীয়বার নিয়ে যাওয়ার পর পাকস্থলির জ্বরে ( stomach flu ) আক্রান্ত হন এবং তৃতীয়বার ( শেষবার ) কিডনীতে পাথর ( kidney stone ) রোগে আক্রান্ত হন।
এই ভাবে Black Prince's Ruby ( নাম Black Prince's Ruby হলেও রং কালো / Black নয় ), Peregrina Pearl ইত্যাদি রত্নের ঘোরতর অশুভ প্রভাব মানুষের উপর দেখা যায়।
( বিঃ দ্রঃ - ১০ বছরের নীচের ছেলে / মেয়ের হাতে বিশেষ কোন রেখাই থাকে না। তাছাড়া হাতের রেখা ক্রমাগত ভাবেই পরিবর্তনশীল হওয়ায়, হস্তরেখা বিচার করে প্রতিকার দেওয়া বা প্রতিকার নেওয়া একটি সম্পূর্ণ ভুল এবং অবৈজ্ঞানীক কাজ। তাছাড়া হস্তরেখা বিচার করিয়ে নিজের রাশি, লগ্ন, গণ, বর্ণ, জন্ম নক্ষত্র, ত্ৰিপাপ দোষ, ষড়বর্গ / ষোড়শবর্গ, ষন্নাড়ী চক্র, জাতক-জাতিকা চক্র, অষ্টবর্গ, অষ্টোত্তরী-বিংশোত্তরী ইত্যাদি মহাদশা, রাজযোগ, কেমক্রম দোষ, গুরুচণ্ডালী দোষ ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শুভ এবং অশুভ গ্রহযোগ এবং বিষয় সমূহ জানা যায় না। হস্তরেখা বিচার করিয়ে পাত্র-পাত্রীর যোটক বিচারের ফলাফলও জানা যায় না। আবার অন্যদিকে কেবলমাত্র হস্তরেখা বিচার করিয়ে সংখ্যাতত্ত্ব - কৃষ্ণমূৰ্ত্তি - লালকিতাব ইত্যাদির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলও জানা যায় না। )
কোনও ব্যক্তি / দোকানদারের নিকট থেকে অনেক মূল্যদিয়ে ১০০% গ্যারান্টী যুক্ত কোনও রত্ন ক্রয় করার পর সেই রত্ন কোথাও বন্ধক রেখে একশত ( ১০০ ) টাকাও পাওয়া যাবে না। কোনও ব্যাঙ্ক ( BANK ) - কোনও সুদ ব্যবসায়ী সেই গ্রহ রত্ন বন্ধক রেখে টাকা দেবে না। কারণ সরকার তথা ব্যাঙ্ক আধিকারীকরা জানেন যে বর্তমান সময়ে শোরুমে / দোকানে / বাজারে বিক্রয় হওয়া সকল রত্নই নকল।
সামান্য পড়াশুনা জানা এবং COMPUTER-এ INTERNET ব্যবহার করতে জানা ব্যক্তিরা অতি সহজেই দেখতে পারেন যে অত্যধিক পরিমাণে CHINA থেকে চাইনীজ খেলনার সাথেসাথে কৃত্তিম গ্রহরত্ন আমদানি করা হইতেছে। তাছাড়া বর্ম্মা, থাইলেণ্ড, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা ( তানজানিয়া ) থেকেও বহুল পরিমাণে কৃত্তিম গ্রহরত্ন আমদানি করা হইতেছে।
মুল্যবান প্রাকৃতিক রত্ন - সরকারী সম্পত্তি। যেমন অস্ট্রেলীয়ার ( AUSTRALIA-র ) সামুদ্রিক প্রবাল প্রাচীর, অস্ট্রেলীয় সরকারের সম্পত্তি। ইহা সৰ্ব্ব শ্রেষ্ট প্রবাল। কিন্তু ইহা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নয়। ইহাতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা আছে। এই ভাবে সকল ধরণের প্রাকৃতিক রত্নে সরকারী নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোর আইন বলবৎ থাকার জন্য আসল রত্ন কোথাও পাওয়া যায় না।
প্রাকৃতিক সামুদ্রিক প্রবাল বিক্রির উপর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে একথা স্পষ্ট যে জুয়েলারী / শোরুমে বিক্রি হওয়া RED COREL ( রক্ত প্রবাল ) মানেই তো নকল প্রবাল। আর এমতাবস্থায় কেউ যদি দাবি করে যে তার প্রবাল আসল তা হলে তো সেই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার মত মারাত্মক অপরাধের অপরাধী । তখন সেই ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশরা ( INTERPOLE, FBI ইত্যাদিরা ) আটক করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে কঠোর শাস্তি প্রদান করবে।
জুয়েলারী / শোরুমে দেখতে পাওয়া লালরঙের “রক্ত প্রবাল” হইতেছে NON PRECIOUS RED DYED SPONGE CORAL POLISHED FRAGMENTS OF FAKE DYED RED BAMBOO CORAL ( NOT PRECIOUS CORAL ) এর সিনথেটিক ( SYNTHETIC ) নকল মাত্র। ইহার কোন প্রকার জ্যোতিষীয় অথবা অর্থনৈতিক গুরুত্ব ( VALUE ) নাই । ইহা কেবল মাত্র নকল প্রবালেরও নকলমাত্র।
সমস্ত আমেরিকা তথা ইউরোপের জুয়েলারীতে রত্ন ( পোখরাজ, গোমেদ, প্রবাল ইত্যাদি ) বিক্রয়ের পূর্ব্বেই ক্রেতাকে বলা হয় যে ইহা আসলের অনুরূপ নকল রত্ন এবং ইহার গুণাগুণ ও নেই কিন্তু ইহার কাটিং এবং পলিশ করতে ( উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে / চমক আনতে ) অনেক পরিশ্রম হয়েছে তাই অতিসচ্ছ রত্নের মূল্যও বেশী হইবে।
বর্তমান সময়ে চোর-ডাকাতের ভয়ে বেশীরভাগ ভারতীয়রাই দূর যাত্রার সময়ে খাঁটি সোনার গয়না ক্যাস টাকা পয়সা খুব একটা সাথে নিয়ে ভ্রমণ করেন না। অথচ আজকাল গ্রহরত্ন বিক্রেতারা প্রায়ই জয়পুর ( রাজস্থান ), কলকাতা, দিল্লী, গৌহাটী ইত্যাদি শহর থেকে এসে ভারতের ছোট ছোট শহরগুলিতে জুয়েলারীর দোকান / শোরুম খুলে বিভিন্ন কার্যকলাপের সাথেসাথে গ্রহরত্নের ব্যাগ অথবা ঝুলা নিয়ে প্রায়ই শহরের রাস্তাঘাট এবং অলিগলিতে ফেরী করে বেড়াচ্ছে। নকল রত্ন হওয়ায় চুরি-ডাকাতির কোনও ভয় এদের থাকে না এবং অতিঅল্প মূল্যের বস্তু হওয়ায় নকল রত্নে ব্যাগ এবং দোকান ভর্তি থাকে।
আসল রত্ন সরকার দ্বারা কঠোর পুলিশ / সেনা প্রহরার মাধ্যমে একস্থান হইতে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিউজিয়ামে রেখে জনগণকে শুধু দেখানো হয়। বহুমূল্য আসল রত্ন সামগ্রি কদাপীও নিরাপত্তাহীন পরিবেশে স্বশস্ত্র পুলিশী প্রহরীহীন শোরুমে বা ষ্টোনের দোকান অথবা জুয়েলারীতে রাখার তো কোন প্রশ্নই উঠে না।
সব থেকে ছোট রত্নের দোকানে যত নকল রত্ন থাকে, ভারত সরকারের কাছে সমস্থ সরকারী মিউজিয়ামের আসল রত্ন মিলিয়েও ততটা নেই। অত্যধিক মাত্রায় অসংখ্য পরিমাণে নকল ও কৃত্তিম রত্নের উৎপাদন তথা বিতরণের জন্য, বর্তমান সময়ে এইসব রত্নাদি ছোট বড় সকল জুয়েলারীতে
পাওয়া যায়।
শাস্ত্রে বর্ণিত আসল “বহুমূল্য রত্ন” সৰ্ব্বদাই পুলিশী / সেনার কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মিউজিয়াম এবং ব্যাঙ্ক-লকারে প্রদর্শিত ও পরিরক্ষিত হয়। যেখানে দৃশ্যতই স্বশস্ত্র প্রহরী বা রক্ষীদের সক্রিয় গতিবিধি সহজেই চোখে পড়ে। কারণ আন্তর্জাতিক সম্পদা হওয়ায়, বহুমূল্য “আসল রত্নাদি” বহুধরণের সেইল টেক্স, সারভিস টেক্স, কাসটম ডিউটি, ইনসিউরেনস সারটিফিকেশনস ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরিভাবে সরকারী নিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসন যন্ত্রের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে।
বহুমূল্য আসল রত্ন সামগ্রি কদাপীও নিরাপত্তাহীন পরিবেশে স্বশস্ত্র পুলিশী প্রহরীহীন শোরুমে বা ষ্টোনের দোকান অথবা জুয়েলারীতে রাখার তো কোন প্রশ্নই উঠে না।
বিগত পঞ্চাশ বৎসর যাবৎ বহুল পরিমাণে নকল গ্রহরত্নের অবিরলভাবে ক্রমাগত উৎপাদন ও প্রদর্শন এক অন্তঃহীন নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অধঃপতনের সূচক। প্রায় একশত বছর আগে, ফরাসী রসায়নবিদ MOISSAN, শর্করাজাত অঙ্গার ( sugar charcoal ) এবং লৌহচূর্ণের মিশ্রণকে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে 3000 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় গলাইয়া ঠাণ্ডা করিয়া মিশ্রণটিকে পুনরায় HCL এর সহিত উত্তপ্ত করিয়া বর্ণহীন ও স্বল্পবর্ণযুক্ত স্বচ্ছ হীরক প্রস্তুত করিয়াছিলেন। এই পুরাতন পদ্ধতিতে আজ অবধি নকল হীরা প্রস্তুত করা হইতেছে। এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন কালো এবং অস্বচ্ছ হীরক ব্যবহার হয় খননযন্ত্রে ( grinding machine ) বা ঘর্ষণ যন্ত্রে এবং ধাতু ও অন্যান্য কঠিন বস্তু কাটার কাজে।
বর্তমান বিশ্বে স্ট্রাস ( strass ) - কাঁচকে, যাবতীয় কৃত্তিম গ্রহরত্ন প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। লেন্স, প্রিজম, সুদৃশ্য ফুলদানী, গ্লাস, অন্যান্য সৌখীন কাঁচের পাত্র ইত্যাদির প্রস্তুতে ব্যবহৃত ফ্লিনট কাঁচ বা সীসা-কাঁচ ( flint glass or lead glass ) এর প্রতিসরাংক বেশী হওয়ায়, এই শ্রেণীর কাঁচে PoO - এর পরিমাণ বৃদ্ধি করিয়া নকল গ্রহরত্ন বা স্ট্রাস কাঁচ প্রস্তুত করা হয়। ইহার প্রতিসরণাংক হীরকের প্রতিসরণাংকের সমান। এই কাঁচের গলনাংক বেশ কম এবং ইহার রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা ও কম। কিন্তু এই কাঁচের আপেক্ষিক গুরুত্ব এবং প্রতিসরণাংক নরম ও শক্ত কাঁচ হইতে বেশী।
** সঠিকভাবে কাটা স্ট্রাস কাঁচকে হীরকের মত উজ্জ্বল দেখায়। নকল হীরা রূপে ইহার সর্ব্বত্র ব্যাপক প্রচলন চোখে পড়ার মত।
** পীত রং এর টোপাজ ( topaz ) প্রস্তুত করার জন্য স্ট্রাসের মধ্যে 1% Fe3O3 যোগ করা হয়।
**খুব অল্প পরিমাণ CO2O3 যোগ করিলে স্ট্রাসের মধ্যে নীলার দীপ্তি সৃষ্টি হয়।
** এবং Cu2O বা স্বর্ণঘটিত কোন যৌগের উপস্থিতিতে চুণীর মত রক্তবর্ণের উজ্জ্বল স্ট্রাস পাওয়া যায়।
** আসল সামুদ্রিক প্রবাল বা মুগা উত্তোলনে পৃথিবীব্যাপী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় গৃহের চেয়ার টেবিল ইত্যাদি আসবাব পত্রে ব্যবহৃত হার্ড প্লাসটিক এবং অন্যান্য পলিমার দিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রবাল, মুক্তা, ক্যাটসঅ্যাই, টাইগারসঅ্যাই, মুনষ্টোন ইত্যাদি প্রস্তুত হইতেছে।
**অন্যদিকে, বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণের লক্ষে, অপ্রাকৃতিক এবং কৃত্তিমভাবে জেনেটিক উপায়ে অশুদ্ধ মুক্তা এবং বিভিন্ন ধরণের শঙ্খের মত উৎপাদ প্রস্তুত করা হইতেছে। ধর্ম্ম-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিতে যাহা এক বিতর্কিত বিষয়।
বেদের ষড়ঙ্গ শাস্ত্রের অন্তর্গত “জ্যোতিষ শাস্ত্ৰ” ধৰ্ম্ম বা অধ্যাত্ম মূলক জ্ঞান শাস্ত্রের একটি অঙ্গ অর্থাৎ “চোখ” বা “চক্ষু” মাত্র। সব কয়টি অঙ্গছাড়া দেহজ্ঞান সম্পূর্ণ হয় না। সুস্থ সবল সম্পূর্ণ দেহে বা শরীরে সব কয়টি অঙ্গ থাকা অনিবাৰ্য্য ॥
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জ্যোতিবিশিষ্ট পদার্থকেই মণি বা রত্ন বলা হয়। পৌরাণিক শাস্ত্রে, কৌস্তুভ মণি, চিন্তামণি, স্যমন্তকমণির মত দিব্য ও অলৌকিক মণি রত্নাদির বর্ণনা দেখা যায়।
অর্থাৎ –– ১ হীরক, ২ পদ্মরাগ, ৩ বৈদুর্য্য্য, ৪ মুক্তা, ৫ গোমেদ, ৬ বিদ্রুম, ৭ মরকত, ৮ পুষ্পরাগ এবং ৯ নীলকান্ত মণি। এই নয়টি ‘নবরত্ন' এবং ১০ স্ফটিক ( সূর্যকান্ত ), ১১ চন্দ্রকান্ত, ১২ পুলক, ১৩ ভীষ্মক এবং ১৪ ইন্দ্রগোপ - এই পাঁচটি লইয়া চতুৰ্দ্দশ রত্ন হয়। এ ছাড়াও আরোও বহু প্রকারের “রত্ন” শাস্ত্রে উল্লেখ হইয়াছে।
গ্রহের শান্তিবিধানের জন্য, যে গ্রহের যে রঙ, সেই রঙের রত্ন এবং বস্তুগুলি দান করিতে হয়। এই দর্শন ( PHILOSOPHY ) -এর উপর ভিত্তি করে ঐ ১৪ টি রত্নকে ‘গ্রহরত্ন' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ শাস্ত্ৰবচনানুসারে, রাজার রত্নাগারে বিশুদ্ধ গুণশালী রত্ন সকল পরীক্ষা পূর্বক রক্ষাকরা বিধেয়।
মুদ্রা হিসাবে মণি রত্নাদির ব্যাপক প্রচলন, প্রাচীন অর্থনীতিকে দারুণভাবে প্রভাবিত করিয়াছিল। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মানব জীবনে নয়টি প্রধান গ্রহের গুরুত্ব এবং প্রভাব ( Importance ) এর ভিত্তিতে তার প্রতিকারার্থে ( অর্থাৎ বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানের জন্য ) নির্ধারিত পারিশ্রমিক বা দক্ষিণা বা পারিতোষিক মূল্য হিসাবে “গ্রহশান্তি বিশেষজ্ঞকে” রত্ন বা মণি দান করা হইতো। অর্থাৎ গ্রহশান্তির জন্য গ্রহশান্তি বিশেষজ্ঞকে, সেই গ্রহের জন্য নির্ধারিত ‘রত্নটি' বা তার সমতূল্য ধন দান করার নিয়মের প্রচলন ছিলো। কারণ প্রাচীন অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে উপরোক্ত চতুৰ্দ্দশ প্রকার রত্নের ব্যবহার ব্যাপক ভাবে প্রচলনে ছিলো। গ্রহশান্তি প্রক্রিয়ায়, গ্রহশান্তি বিশেষজ্ঞকে প্রদেয়, দান সামগ্রীর ভিতর গ্রহরত্ন কেবলমাত্র একটি দান সামগ্রী ( বা উপাদান মাত্র )। নৈতিক দৃষ্টিতে বর্তমান যুগের currency এই দান সামগ্রীটির স্থান দখল করিয়াছে। পুরাকালে, দেবতার মন্দির, বিগ্রহ, রাজপ্রাসাদ, রাজকীয় পরিধান, রাজকীয় বাহন, রথ ইত্যাদিকে ও মূল্যবান মণি রত্নাদি দ্বারা খচিত এবং অলঙ্কৃত করা হইত। অর্থাৎ মণি মুক্তা গ্রহরত্নাদি সৰ্ব্বদাই ফ্যাশনে ছিলো। প্রাচীন রাজা মহারাজাগণ এবং সম্ভ্রান্ত কুলীন লোকেরা পূজা পার্ব্বণ ও উৎসব অনুষ্ঠানে, পারিতোষিক হিসাবে ও মণি রত্ন আভূষণাদি প্রজা সেবক, ভৃত্ত্ব বর্গ এবং গুণীজনদের দান করিতেন।
মহারত্ন ( গ্রহরত্ন ), রত্ন, উপরত্ন -- রত্নের এই তিনটি শ্রেণীর মধ্যে মহারত্ন ( গ্রহরত্নের ) সংখ্যা প্রকৃতিতে অত্যন্ত সীমিত এবং সব যুগেই তা অত্যন্ত দুর্লভ। মহারত্ন সকল দৈবী সম্পদা অর্থাৎ দেবী-দেবতাদের ব্যবহারের জন্য হওয়ায়, সাধারণ মানুষের পক্ষে এই গুলির ব্যবহার অত্যন্ত বিপদজনক। রত্ন এবং উপরত্ন সকল ( যে গুলি বর্তমান সময়ে পাওয়া যায় না ) প্রাচীনকালে মুদ্রা হিসেবে ( টাকা পয়সার মত ) ব্যবহৃত হইতো এবং দেবমন্দির তথা রাজপ্রাসাদ, রথ, বাহন ইত্যাদিকে সুসজ্জ্বিত করার কাজে ব্যবহার করা হইতো ।
তারপর রাজার সীল-মোহর যুক্ত বিশ্বাস যোগ্য মুদ্রার প্রচলন হওয়ার পর থেকে এই গুলির ব্যবহার কমতে থাকে এবং শেষে ১৬০০ - ১৭০০ খ্রীষ্টাব্দে বৈজ্ঞানিক ল্যাবোরেটরীতে এই সব রত্ন এবং উপরত্নের গুণহীনতা প্রমাণিত হওয়ায় এবং কাঁচ, কৃত্তিম হীরা এবং কম দামী পাথরকে চমকানোর নানা পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে ঐ সব রত্ন এবং উপরত্নের ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায় ।
ব্রিটিশ বা ইংরেজরাই বর্তমান ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত মহান ও বিখ্যাত মিউজিয়ামের উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা। ব্রিটিশরা প্রায় সমস্ত ভারতবর্ষের রাজা মহারাজাদের নিকট থেকে ( কোহিনূর হীরা সহ ) প্রায় সমস্ত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভারকে সমুলে বিদেশে পাঁচার করিয়াছিলো।
বিরুদ্ধ গ্রহের রত্ন দান বিধি : দৈব অর্থ এবং তাৎপর্য্য অনুযায়ী --
অর্থাৎ -- রবির মাণিক্য, চন্দ্রের পদ্মরাগ, মঙ্গলের প্রবাল, বুধের মরকত, বৃহস্পতির পুষ্পরাগ, শুক্রের বজ্র, শনির নীলা, রাহুর গোমেদ এবং কেতুর বৈদুর্য দান কর্তব্য। কারণ ন্যায়শাস্ত্র, দর্শন এবং অর্থশাস্ত্র অনুসারে
অর্থাৎ – দানেতে দারিদ্র্য দূর হয়, সুস্বভাবের দ্বারা দুর্গতি বিনষ্ট হয়, ------
এককথায় অধ্যাত্মশাস্ত্রমতে, গ্রহশান্তির জন্য ‘গ্রহের জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট রত্নটি' প্রদানের নিয়ম ছিলো, পরিধানের নহে। অর্থাৎ গ্রহশান্তির জন্য 'রত্ন' পরিধানের পরিবর্তে, রত্ন বা সমতুল্য ধন দান করিবার নিয়মটিই সতঃ সিদ্ধ ॥
আজ হইতে মাত্র ষাট অথবা সত্তর বছর আগেও কোনও বনেদী / জমিদার অথবা ধনীলোককেও কখনোই গ্রহদোষের প্রতিকারের জন্য রত্ন ধারণ করার মত হাস্যকর কাজ করতে শোনা যায় নাই । কারণ সংস্কৃতের পঠন-পাঠনের পরম্পরা তখনও অব্যাহত ছিল। কারণ জ্যোতিষশাস্ত্রের সমস্ত মূল গ্রন্থই সংস্কৃতে লিখা হয়েছিলো। বর্তমান যুগে সংস্কৃতের পণ্ডিতদের অভাব বশতঃ ভুলভাবে অনুবাদ করা জ্যোতিষের বইগুলির দ্বারা, দক্ষিণা হিসাবে প্রদানের পরিবর্তে রত্ন নিজে ধারণ করার মত উলটো কাজের প্রবর্তন হয়েছে। হিন্দুশাস্ত্রে বর্ণিত দশবিধ সংস্কারের অন্তর্গত পূজাপার্ব্বণে বিহিত প্রতিটি পূজাপার্ব্বণে অন্তর্নিহিত গ্রহশান্তি অনুষ্ঠান একটি সাধারণ হিন্দু সংস্কার বিশেষ। ভিন্ন ভিন্ন চেতনার উৎসস্থল ‘স্বচৈতন্যে' চৈতন্যময় এই সমগ্র জগৎ অধিষ্ঠিত।
বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান মণি রত্ন ষ্টোন ইত্যাদির মানক প্রমাণ পত্র ( Certificate ) প্রদানের ক্ষেত্রে GII, CIBJO, GIA, EGL, HRD-র মত বহু সংস্থা থাকলেও পুরাণশাস্ত্রে বর্ণিত সিংহলী বা সিলোনীজ রত্নের জন্য ‘NGJA ( NATIONAL GEM & JEWELLERY AUTHORITY, SRILANKA ) একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
হীরা বা হীরকের মতই মূল্যবান অন্যান্য 'রত্ন' ক্রয়ের সময় উপরোক্ত সংঘিয় বা জাতীয় পরীক্ষাগারের আন্তর্জাতিক মানক প্রমাণপত্র বা Certificate র প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে জুয়েলারী বা খুচরা রত্নবিক্রেতা Gemologist - এর ব্যক্তিগত প্রমাণপত্র ( CERTIFICATE ) বা রসিদ ( RECEIPT ) মূল্যহীন। উপরোক্ত এক বা একাধিক সংঘিয় বা জাতীয় পরীক্ষাগারের প্রমানপত্রযুক্ত রত্নটিই গ্রহশান্তিমূলক দৈবকার্য্যানুষ্ঠান সম্পন্নকারী গুণীজনকে দক্ষিণা হিসাবে প্রদান করিবার নিয়ম । কারণ কেবলমাত্র খাঁটি এবং বিশুদ্ধ রত্নই দক্ষিণা প্রদানে কিংবা আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশস্ত ৷
শ্রীমদ্ভাগবতের ১ম স্কন্ধের ৩৯ নং শ্লোক মতে, স্বর্ণধাতু অর্থাৎ সোনাতে অধর্মরূপী দুষ্টশক্তি “কলির” বাসস্থান। শ্রীমদ্ভাগবত অনুযায়ী অধর্মরূপী অশুভশক্তি কলির পঞ্চম বাসস্থান হচ্ছে এই “সোনা”। মহাধার্মিক সম্রাট পরীক্ষিত ( ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম সখা মহাবীর অর্জুনের নাতি, অভিমন্যুর পুত্র ) অশুভ শক্তি কলিকে সোনা অর্থাৎ স্বর্ণধাতুতে থাকার অনুমতি দেন। দুষ্টশক্তি কলি সাথেসাথেই সম্রাট পরীক্ষিতের মস্তকে ( মাথায় ) থাকা স্বর্ণ মুকুটে আশ্রয় নেয় এবং মহাধার্মিক সম্রাট পরীক্ষিতকে মতিভ্রষ্ট করে দেয়। ফলে সম্রাট পরীক্ষিত, ঋষি শমীক মুণির গলায় মৃত সর্প ( সাপ ) পরিয়ে দেওয়ার মত অপরাধ করে ফেলেন। যার পরিণাম স্বরূপ, শমীক মুনির পুত্র মহাতেজস্বী শৃঙ্গী ঋষির দ্বারা ব্রহ্মশাপ গ্রস্থ হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তক্ষক সর্পের দংশনে সম্রাট পরীক্ষিতের মৃত্যু হয়েছিলো।
ধনের দেবী মাতা লক্ষ্মীর অবতার সীতাকে ও স্বর্ণ হরিণের জন্য ভগবান রাম চন্দ্র হইতে বিচ্ছেদ তথা রাক্ষসরাজ রাবণ দ্বারা অপহৃত হইতে হইয়াছিল।
“ধনতেরস” উৎসবে স্বর্ণ ক্রয় করা ( কেনা ) একটি কাল্পনিক প্রচলন। আসলে ঐ দিন লক্ষ্মীপূজার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করিতে হয় এবং একদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মীপূজা হয়ে থাকে। একদিন পূর্ব্বে প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র যোগাড় করে পূজার সময় স্থিরচিত্তে যাতে পূজায় মনোনিবেশ করা যায় তাই এই ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। তাছাড়া একদিন পূর্ব্বে প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র যোগাড় করার এই প্রথা কেবলমাত্র গুজরাটি সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ । মানবকল্যানের জন্য স্বয়ং মাতা লক্ষ্মী, সীতা রূপে আবির্ভূত হয়ে মানবজাতিকে সোনার অশুভ বিধ্বংসী প্রভাব দেখিয়ে ছিলেন।
সোনার প্রতি লোভ / মোহ থাকিলে “গ্রহরাজ শনিদেব” এবং “হনুমানজীর ( দেবাদিদেব মহাদেব শিবের অবতার )” প্রকোপে পড়তে হয়। যেখানে সোনা ( স্বর্ণ ধাতু ) থাকে সেই স্থানেও গ্রহরাজ শনিদেব এবং হনুমানজীর প্রকোপ থাকে।
রাবণের “সোনার লঙ্কাকে” হনুমানজী আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করেছিলেন।
“সোনার লঙ্কায়” থাকার জন্যই ঋষি পুত্র রাক্ষসরাজ রাবণের মতিভ্রষ্ট হয় এবং দেবী সীতাকে ( দেবী লক্ষ্মীকে ) অপহরণ করার মত ঘোরতর অপরাধ করে ফেলে এবং ভগবান রাম চন্দ্রের সহিত ( ভগবান বিষ্ণুর সহিত ) শত্রুতা করে অকালে মৃত্যু মুখে পতিত হয় । হনুমানজী যে, তাঁর আরাধ্য দেবতা শিবের অবতার এই সত্যও সে বুঝতে পারে নাই । ফলে হনুমানজীর ( শিবের অবতার ) প্রকোপে ও পড়তে হয় । রাক্ষসরাজ রাবণ ছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব শিবের ভক্ত । সেইজন্য দেবাদিদেব মহাদেব শিব নিজ হস্তে রাবণকে শাস্তি না দিয়ে, হনুমানজীর রূপ ধরে রাবণ বধে ভগবান রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন।
রাক্ষসরাজ রাবণ যখন মাতা সীতাকে ( মাতা লক্ষ্মীকে ) অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মাতা সীতার দেহে প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার ছিল। মাতা সীতা তখন সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার খুলে মাটিতে ফেলছিলেন। এই স্বর্ণালঙ্কার গুলি দেখে ভগবান রামচন্দ্র বুঝতে পেরেছিলেন যে, মাতা সীতাকে কোন পথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার খুলে ফেলার পর, কোনও মানুষ অথবা তার আত্মীয় স্বজনরা বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সঠিক মার্গ ( পথ ) দেখতে পায়।
এই “সোনার লঙ্কা”-র জন্য যক্ষরাজ ধনপতি ( নিধিপতি ) কুবেরকে ও রাজ্যপাট হীন হইতে হইয়াছিল।
শ্রীমদ্ভাগবত মতে, যেখানে স্বর্ণধাতু থাকবে সেখানে অবস্থিত লোকরা মিথ্যা কথা বলবে, মাতলামি ( মদ্যপান / নেশা ) করবে, নীচ কর্ম্ম ( অসামাজিক কর্ম্ম ) করবে, হিংসা - পরশ্রীকাতরতা এবং শত্রুতা থাকবে।
মহাভারতে আছে, ধনের অধিপতি কুবেরের নলকুবের এবং মনিগ্রীব নামক দুই পুত্র ছিলেন। স্বর্ণধাতু তথা মণি-মুক্তা ইত্যাদির অহংকারে নলকুবের এবং মনিগ্রীব অহংকারী উন্মাদ হয়ে উঠেছিল। তাঁরা এত বেশী উন্মাদ হয়েছিল যে, নারদ মুনির সন্মুখে নগ্ন হয়ে স্নান করতে থাকে। ফলে নারদ মুনির অভিশাপে তাঁরা বৃক্ষ ( গাছ ) হয়ে যায়। তখন নলকুবের এবং মনিগ্রীবের পত্নীরা নারদ মুনির সন্মুখে আকুল প্রার্থনা করলে পর নারদ মুনি বলেন যে, দ্বাপর যুগে ভগবান বিষ্ণু যখন শ্রীকৃষ্ণ হয়ে মনুষ্য অবতার নেবেন তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে তাদের মুক্তি হবে। স্বর্ণধাতু তথা মণি-মুক্তা ইত্যাদির অহংকারে নলকুবের এবং মনিগ্রীবকে লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরে বৃক্ষ ( গাছ ) হয়ে থাকতে হয়েছিল।
ইতিহাস সাক্ষী যে, বারবার নানা সভ্যতা তথা দেবমূৰ্ত্তি - দেবমন্দির ও এই স্বর্ণধাতুর জন্য শত্রুর দ্বারা লুণ্ঠিত তথা ধ্বংস হয়েছে। প্রাচীন যুগে, আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসাবে মণি এবং রত্নসম্ভারের বিপুল ভাণ্ডার হিসাবে অত্যধিক প্রসিদ্ধির জন্য ভারতবর্ষকে ক্রমাগত ভাবে বিভিন্ন আক্রমণকারীদের হাতে নিগৃহীত হইতে হইয়াছিলো। যেহেতু দেবী-দেবতারা স্বর্ণধাতুর ব্যবহারে মানুষের উপর ক্রোধিত হন, ফলে প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে প্রচুর স্বর্ণধাতু থাকায় এবং স্বর্ণধাতু দিয়ে মন্দির - দেবমূর্তি রাজপ্রাসাদ তৈরী করায় দেবী-দেবতাদের প্রকোপে ভারতবর্ষে বহিরাগত আক্রমণকারীরা বারবার আক্রমণ করে রাজা তথা নিরীহ প্রজাদের নির্বিচারে হত্যা এবং ধন সম্পদ লুন্ঠন করেছে। আলেকজাণ্ডার, সুলতান মামুদ - সতর ( ১৭ ) বার, মোহম্মদ ঘোরি - সাত ( ৭ ) বার .. .. ..এবং শেষে ব্রিটিশরা সমস্ত কিছু লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। গৃহের একজন সদস্য ও যদি স্বর্ণধাতু ব্যবহারের মত অশুভ কর্ম্ম করেন, তবে গৃহের অন্যান্য সদস্যদের ও বহু ধরনের বিপত্তির সন্মুখীন হইতে হয়।
সোনার অলঙ্কার শরীরে লাগিয়ে বেড়ানো বৈভবের পরিচয় নয়, ইহা মুর্খতার পরিচয়। এই ধরণের কৰ্ম্মে প্রমাণিত হয় যে সেই ব্যক্তি, পণ্ডিত - জ্ঞানী নহেন, ধৰ্ম্মশাস্ত্র বিষয়ে তার কোনও জ্ঞান নেই। কিছু ব্যক্তিকে গ্রহ দোষের প্রতিকারের জন্য রত্নধারণের মত মুর্খতা পূর্ণ কাজ করতে দেখা যায়। আবার কিছু ব্যক্তি সোনা দিয়ে বাধানো রত্ন ধারণ করেন। এর থেকে বড় মূর্খতা পূর্ণ কাজ আর কি হতে পারে? জ্ঞানী - পণ্ডিত ব্যক্তি যারা “রামায়ণ”, “মহাভারত”, “শ্রীমদ্ভাগবত” পাঠ করেছেন ( পড়েছেন ) তাদের পক্ষে এই ধরণের মূর্খতা পূর্ণ কাজ করা অথবা করার পরামর্শ দেওয়া অসম্ভব।
আর এই স্বর্ণ ব্যবসা ও গ্রহরত্নের ব্যবসা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী “কলম্বো” থেকে ১০০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব্বে অবস্থিত রত্নশহর “রত্নপুরা” থেকে ১৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে অবস্থিত পেলমাডুলা খনি ( PELMADULLA MINE )। সিলোনী বলে বিক্রি হওয়া সমস্ত দামী গ্রহরত্নকেই অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা থেকে রপ্তানী হওয়া সমস্ত গ্রহরত্নকেই এই খণি থেকে উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু এর সত্যতা সম্পূর্ণভাবে আলাদা।
ঐ স্থানের হতদরিদ্র লোকেরা আজও সেই চিরাচরিত হাজার বছর পুরোণো পদ্ধতিতে বাঁশের টুকরী, কোদাল, খুরপী, মাছ ধরার মত সরঞ্জাম ইত্যাদি নিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় জলমগ্ন খনি এবং ঐ এলাকার গভীর কূপ অথবা কুঁয়া থেকে বহু দিন এবং ঘন্টার প্রাণ হরণকারী অক্লান্ত পরিশ্রমের পর কশ্চিৎ কদাচিৎ এক দুটি রঙিন পাথর সংগ্রহ করতে পারে। তা ও আবার ল্যাবোরেটরীতে নিয়ে গিয়ে TEST করে দেখতে হয় যে তা বহুমূল্য কি না, উত্তোলিত অতিকম সংখ্যক রত্নকেই মূল্যবান বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সে যাই হোক, গ্রহরত্ন হিসাবে ঐ সব রঙিন পাথর, “রত্নপুরা”-র সেই পারস্পরিক খনি শ্রমিকদের ভাগ্য এবং কষ্ট দূর করতে পারে নাই। ঠিক যে ভাবে প্রাক ব্রিটিশ যুগের ভারতীয় রত্ন সম্ভার ভারতবাসীকে সুরক্ষিত করতে পারে নাই।
বহুকষ্টে উত্তোলিত অত্যন্ত সীমিত সংখ্যক ঐসব রত্ন, ভারতবর্ষের চেয়ে কম করেও ৩০ ( ত্রিশ ) গুণ বেশী অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী ১ম এবং ২য় বিশ্বের দেশ গুলির ( আমেরিকা, অস্ট্রেলীয়া ইউরোপের দেশ গুলির ) BANK, MUSEUM -এ চলে যায়। ( কারণ বিদেশীরা গ্রহরত্ন পরে না, কিন্তু টাকা পয়সার মত “দুর্লভ রত্ন” সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করে। )
বর্তমান সময়ে ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের খনিতে কিছু কিছু উপরত্ন পাওয়া যায়। ধর্মশাস্ত্রীয় তথা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিতে উপরত্ন সমূহ তাৎপর্য্যহীন হওয়ায় প্রায়ই মূল্যহীন, অর্থনীতিতে কমগুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যমানহীন। মুদ্রা কিংবা বহুমূল্য রত্ন হিসাবে ও উপরত্ন সমুহের ব্যবহারিক প্রচলন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সর্ব্বদাই অস্বীকৃত।
বেদশাস্ত্রের একটি বিষয় হচ্ছে এই জ্যোতিষশাস্ত্র - গণিত বিজ্ঞানের ভিত্তিতে জ্যোতির্মান “শিব শাস্ত্র”।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে, গ্রহদোষ শান্তি এবং গ্রহদোষের প্রতিকারের জন্য নানা উপায় বা ব্যবস্থাদির উল্লেখ আছে। কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্মচক্র বা কোষ্ঠী / ঠিকুজী পর্যালোচনা বা বিচারের পর অশুভ গ্রহ বা গ্রহসমূহের দোষ নিবারণের জন্য বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান করাতে হয়। তাহাতে ঐ ক্রিয়া পরিচালককে বিভিন্ন দান সামগ্রী সহ দক্ষিণা বা পারিশ্রমিক মূল্য হিসেবে গ্রহরত্ন বা সমতুল্য ধন দান করার শাস্ত্রসন্মত ব্যাখ্যা শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। গ্রহদোষের প্রতিকার অর্থাৎ গ্রহের অশুভ প্রভাব নষ্ট করার জন্য দক্ষিণা হিসেবে গ্রহ-বিশেষজ্ঞকে নির্দ্দিষ্ট গ্রহের রত্নটি অথবা সমপরিমাণের ধন বা টাকা দান করিতে হয়, এজন্য নিজে গ্রহরত্ন ধারণ করতে হয় না। গ্রহদোষ প্রতিকারের জন্য গ্রহরত্ন পরিধান অর্থাৎ গ্রহের ষ্টোন বা আংটি লাগালে প্রতিকার হয় না। গ্রহদোষ প্রতিকারের জন্য বা গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করার জন্য বা গ্রহদোষ কাটানোর জন্য শাস্ত্রে, রত্নের আংটি / পাথর / ষ্টোন ইত্যাদি লাগানোর ( ধারণ করার ) কোনও নির্দেশ দেওয়া হয় নাই। গ্রহদোষ কাটানোর জন্য, ষ্টোন বা রত্ন লাগানো একটি সম্পূর্ণ ভুল কাজ। পলিশকরা পাথর, কাঁচ, প্লাসটিক ধারণ বা গ্রহরত্ন ধারণের সাথে জ্ঞানজ্যোতি স্বরূপ - “ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ জ্যোতিষ” – এর কোন সম্বন্ধ নাই। এই সব মূর্খতাপূর্ণ কাজের সাথে তপস্যা - সাধনা - দয়া - ধৰ্ম্ম - কৰ্ম্মনিষ্ঠা - শৌচ - আস্তেয় ইত্যাদি আসল প্রতিকারাত্মক বিষয়ের কোন সম্বন্ধই নাই।
মহাপুরুষের কৃপা, সৎসঙ্গ এবং কর্তব্য নিষ্ঠতাই উত্তরণের একমাত্র উপায়।
কোনও ভালো অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত CHEMISTRY LABORATORY-তে INTERNET-এ দেওয়া CARBON DATING ইত্যাদি অত্যাধুনিক নতুন নতুন পদ্ধতিতে অতি সহজেই GEM STONE-এর পরীক্ষা করা সম্ভব। তথা GEM STONE গুলি কবে বানানো হয়েছে? কত যুগ পুরনো? প্রাকৃতিক কি না? মানুষের দ্বারা তৈরী কি না? তাতে কি কি রসায়ন আছে? সমস্ত কিছুই জানা সম্ভব৷
ভারতবর্ষে নকল GEM STONE বিক্রি জনিত অপরাধ দমন করতে, POLICE এবং CRIME DEPERTMENT সহ জনসাধারণকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা CIBJO, the appex trade organization of the Gem Trade and Industry in the world সমর্থিত নিম্নোক্ত সংস্থা
কার্যরত আছে। ঐখানে সকল ধরনের পরীক্ষা ( COMPLETE TEST ) করার পর প্রামাণিক SCIENTIFIC REPORT সহ CERTIFICATE দেওয়া হয় ।
১০ ক্যারেট পর্যন্ত যে কোন ও ১টি GEM STONE পরীক্ষা করাতে Rs. 4,500/- লাগবে।
GEMSTONE বিক্রেতারা কি নিজেদের প্রচুর ষ্টক থাকা প্রত্যেকটি GEM STONE কে এই ভাবে এক একটি করে আলাদা আলাদা ভাবে পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন? যদি করিয়ে থাকেন এবং সকল GEM STONE খাঁটি / আসল হয়, তবে এতো দামী জিনিষের সুরক্ষার জন্য দোকানের চারদিকে পুলিশ / আর্মির কড়া প্রহরা থাকবে, দোকানের উপর হেলিকপ্টার থেকে সেনাবাহিনীকে দিবা রাত্র প্রহরা দিতে দেখা যেত, ঠিক যে ভাবে সরকারী মিউজিয়ামে থাকে ।
কোহিনূর হীরা ইত্যাদিকে যে ভাবে ব্রিটেনের মহারাজা তথা ব্রিটিশ সরকার অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় LASER GUIDED অস্ত্র-শস্ত্র, ROYAL BRITISH ARMY দ্বারা কঠোর রাজকীয় প্রহরায় রাখেন, সেই ভাবে GEM STONE-এর দোকান গুলিকেও কঠোর প্রহরায় রাখা হইতো ।
আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন খনি থেকে প্রত্যেক বৎসর যে হাঁতে গুনা তিন-চারটি আসল প্রাকৃতিক রত্ন পাওয়া যায় তা আমেরিকার মত ধনী দেশ গুলির মিউজিয়ামে প্রদর্শনির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভারতবর্ষের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে কেবল মাত্র ঢের ঢের নকল রত্ন পাঠানো হয়ে থাকে।
सभी समस्याओ का हल सिर्फ एक फ़ोन कॉल +91-9954375906!
समस्या कैसी भी हों घबराये नहीं, तुरंत हमसे संपर्क करे और समाधान पाए !! Get 100% Results With 100% Guarantee. Call Now +91-9954375906, Get Instant Solution.